গত রবিবার (৬ জুন) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা
বিটিআরসি-এর মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রান্তিক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘এক দেশ এক রেট’
ট্যারিফ এর উদ্বোধন করেন।
এক দেশ এক রেট-এর আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ থাকবে।

৫ এমবিপিএস গতির প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা।

১০ এমবিপিএস গতির দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা।

২০ এমবিপিএস গতির তৃতীয় প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে।
সেবাদাতারা চাইলে এই দামের চেয়ে কম দাম নিতে পারবে। তবে কোনোভাবেই বাড়তি অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। এতো দিন ইন্টারনেটের দামে ছিল অরাজকতা।
ইন্টারনেট খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতেই সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে BTRC ।
করোনাকালে দেশে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই বেড়েছে। আউটসোর্সিংয়ের পাশাপাশি পড়াশোনা, ঘরে বসে অফিসের কাজ করা এবং বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছেন, এই দাম কার্যকর হলে ঢাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম প্যাকেজ প্রতি মাসে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমবে। তবে বেশি সুফল পাবেন জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, এই বছরের মধ্যে ফাইবার অপটিক উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটির আওতায় আনা হবে দেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পরিষদকে। যেসব ইউনিয়ন বাকি থাকবে, যেখানে পাহাড় ও দ্বীপের কারণে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল নেয়া সম্বব হচ্ছে না, সেসব এলাকায় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব কার্যক্রম ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।