
গত ৩০ ই মার্চ Xiaomi তাদের নতুন লোগোর সাথে সকলকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি নিয়ে চলছে আলোচনা,সমালোচনা,হাসিঠাট্টা। কারন আগের লোগোটি ছিল একটি বক্স শেপের মধ্যে,আর নতুনটি একটি রাউন্ডেড বক্স শেপের মধ্যে। পরিবর্তন শুধু এতটুকুই। কিন্তু এর জন্য জাপানিজ ডিজাইনার Kenya Hara নিয়েছেন তিন বছর সময় এবং তিন লাখ ডলার (২.৫ কোটি টাকার বেশী)। স্বভাবতই মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এই যে টাকা এবং সময় খরচ করলো সেটা কী অনেক বেশী না?
সাধারণ বিবেচনায় অবশ্যই এইটা অনেক ওভারপ্রাইসড। কিন্তু, যদি একটু গভীরে ভাবি, তাহলে দেখা যাবে আসলে Kenya Hara শাওমির কাছে লোগো বিক্রি করে নাই, বিক্রি করেছে গল্প । আর এই গল্প বিক্রি প্রতিটা বড় বড় রিডিজাইনের পিছনে সত্যি।
আপাতত সাধারণ দেখতে গোলগাল লোগোটা আসলে Superellipse বা Lamé curve দিয়ে করা। এইটা একটা ম্যাথমেটিকাল বিষয়। আর যাদের শেপ সাইকোলোজি নিয়ে আইডিয়া আছে, তারা জানেন যে রাউন্ডনেস আসলে ন্যাচারাল অবজেক্ট এবং বন্ধুত্বের প্রতীক। এই লোগো তাই একসাথে যেমন শাওমি একটা সফিসটেকেটেড টেক কোম্পানি, তার গল্প বলে। তেমন ভাবে শাওমি যে শুধুমাত্র বাক্স বানায় তা না, তারা “Alive”; সেই গল্পও বলে।
এই রিব্র্যান্ডিং এর ডিজাইনার সেই গল্পটাকে বিক্রি করেছেন। একজন অ্যামেচার ডিজাইনার যেখানে এটাকে রাউন্ডনেস বাড়াইছি বলে ক্লায়েন্টকে দিবে, একজন মাস্টার ডিজাইনার তার সাথে গল্প বসায় টাকার অংকে কয়েকটা শুণ্য বেশী নিয়ে নিবে। সাধারণ মানুষও গল্প ভালোবাসে এবং গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়।
তাই সাধারণের মাঝে অসাধারণ কিছু খুঁজে বের করতে পারলেই আপনি নিজেকে অসাধারণ স্থানে নিয়ে যেতে পারবেন।